শেষ বলে পঞ্চম ট্রফি জয় ধোনির চেন্নাইয়ের, স্বপ্নভঙ্গ হার্দিকদের।

শেষ বলে পঞ্চম ট্রফি জয় ধোনির চেন্নাইয়ের, স্বপ্নভঙ্গ হার্দিকদের।

পঞ্চমবারের মতো আইপিএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনালে গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হার্দিকদের।

Chennai won the fifth trophy with the last ball

ইনিংসের বিরতিতে মনে হচ্ছিল গুজরাট টাইটান্সের দুইবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ফাইনালে ২১৫ রানের চাপ যথেষ্ট বেশি। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস দেখিয়ে দিল টার্গেট কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। বৃষ্টির কারণে প্রায় ২ ঘন্টা খেলা বন্ধ থাকলেও চেন্নাই ব্যাটাররা তাদের ছন্দ হারায়নি। ২০ ওভারের খেলা কমিয়ে ১৫ ওভার করা হয়। লক্ষ্য কমে ১৭১। সেই লক্ষ্য তাড়া করে জয় পেয়েছে চেন্নাই। গুজরাটকে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো আইপিএল জিতলেন ধোনি। শুভমনকে তাড়াতাড়ি আউট করার সুযোগ এসেছিল। দ্বিতীয় ওভারে তার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন দীপক চাহার। পরের ওভারে ঋদ্ধিমানের হাতে ক্যাচ দেন চাহার। জীবন পেয়ে হাত খুললেন দুই ব্যাটসম্যান। পাওয়ার প্লের সুযোগ নিয়েছে তারা। গুজরাট ৬ ওভারে ৬২ রান করে। মনে হচ্ছিল শুভমন আবার বড় রান করবে। কিন্তু ধোনির গ্লাভসে থেমে যেতে হল শুভমনকে। রবীন্দ্র জাদেজার বলে ৩৯ রানে ধোনি তাকে স্টাম্পড করেন।

এরপরও রানের গতি কমেনি। আরেকটি আইপিএল ফাইনালে ঋদ্ধি ভালো খেলেছেন। ৩৬ বলে ফিফটি করেন তিনি। এরপর অবশ্য বড় শট মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। সাঁই সুদর্শন শুরু হয়েছিল যেখানে ঋদ্ধি ছেড়েছিল। তামিলনাড়ুর এই ব্যাটসম্যান তার ঘরের দলের বিপক্ষে তার সেরা খেলাটি খেলেছেন। চেন্নাইয়ের স্পিনারদের আক্রমণ করতে থাকেন তিনি। ফলে চাপে পড়েছিলেন ধোনি। সুদর্শন ৩১ বলে ফিফটি করেন। এরপর আরও হাত খুলে খেলা শুরু করেন। এক সময় মনে হচ্ছিল ফাইনালে সেঞ্চুরি করবেন সুদর্শন। কিন্তু সুদর্শন ৪৭ বলে ৯৬ রান করে আউট হন। শেষ ওভারে ১২ বলে ২১ রান করেন হার্দিক। গুজরাট ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান করে।

জবাবে চেন্নাই ব্যাট করতে নামার পর প্রথম ওভারের তিন বলে বৃষ্টি শুরু হয়। মাঠ ছাড়েন ক্রিকেটাররা। খেলা বন্ধ। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থেমে গেলেও খেলা শুরু হতে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরি হয়। কারণ মাঠের বেশ কিছু জায়গায় পানি জমে ছিল। সেই জল সরিয়ে খেলা শুরু করতে অনেক সময় লাগে। ফলে আম্পায়াররা খেলা কমিয়ে ১৫ ওভার করার সিদ্ধান্ত নেন।

খেলা শুরুর পর চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কওয়াড় ও ডেভন কনওয়ে শুরু থেকেই মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন। তারা জানত প্রতি ওভারে তাদের ১২ রান করতে হবে। খেলাটি ১৫ ওভারের হওয়ায় পাওয়ার প্লেও ৪ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। পাওয়ার প্লেতে ৫২ রান করেন দুই ওপেনার। চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানদের বড় শট খেলা ছাড়া উপায় ছিল না। ৬ ওভারে ৭২ রান।

জিততে ৯ ওভারে ৯৯ রান করতে হয়েছিল চেন্নাইকে। জয়টা কঠিন ছিল। গুজরাটের স্পিনার নূর আহমেদ ভালো বোলিং করছিলেন। এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে চেন্নাইকে বড় ধাক্কা দেন তিনি। প্রথমে গায়কওয়াড়কে ২৬ রানে ফেরত পাঠান এবং তারপর কনওয়েকে ৪৭ রানে। এক ওভারেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যান চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার। খেলা শেষ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত গড়ায়। জাদেজা শেষ বলে ৪ মেরে চেন্নাইকে জয় এনে দেন।

Post a Comment

0 Comments